উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও চর্চা I



আপনি যেকোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারবেন ঠিকই, তবে কতটুকু শিখতে পারবেন তা নিয়ে থাকে সংশয়। যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কিংবা ট্রেইনার থেকে শুরু করবেন, আগে তাদের সম্পর্কে ভালো করে জানুন। প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভালো, তবুও শিখতে পারছেন না। এর কারণ হলো আপনার শেখার প্রতি অনীহা ও চেষ্টার অভাব। আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণে চর্চা এবং পরিশ্রম করতে হবে। এ বিষয়ে বিখ্যাত মনিষী উইলিয়াম ল্যাংলয়েড বলেছেন,

“ যেখানে পরিশ্রম নেই সেখানে সাফল্য ও নেই ”

 ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ড বেশ প্রশস্ত। তবে জনপ্রিয় ফিল্ডগুলো হলঃ

– ওয়েব ডিজাইনএন্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

– গ্রাফিক ডিজাইন

– এন্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট

– গেম ডেভেলপমেন্ট

– ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন

– এফিলিয়েট মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং

– এসইও এক্সপার্ট

– ডাটা এন্ট্রি

– কন্টেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং

– লোগো ডিজাইন

– ভিডিও এডিটিং

– এনিমেশন ডিজাইন

– ইমেইল ও ফেসবুক মার্কেটিং

– প্লাগইন ডেভেলপমেন্ট  

– সেলস কনসাল্টেন্ট

– ইউটিউব মার্কেটিং এন্ড স্ট্রাটেজি

–ইনস্ট্যান্ট ইনকাম সার্ভে 

=কাদের জন্য এই ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত-পেশা?

– যাদের অতিরিক্ত লোভ নেই।

– যারা কাজ শেখার ধৈর্য রাখে।

– পরিশ্রম করতে জানে।

– সৎ পথে জীবিকা উপার্জন করতে চায়।

– যাদের শেখার প্রবণতা আছে।

– যারা অল্পতেই হতাশ না হয়ে সফলতার আশা করে।

=কাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্তপেশা না

– যারা শর্টকাট পদ্ধতিতে বড়লোক হতে চায়।

– যাদের ধৈর্য একবারেই কম।

– যারা কিছু না শিখেই উপার্জন করতে চায়।

– যারা সবকিছু ফ্রি তে পেতে চায়।

– ফ্রিল্যান্সিং কে খুব সহজ মনে করে।

=কিছু পরামর্শঃ

– যেহেতু ছাত্রজীবনে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন, অবশ্যই নিজের পড়াশোনার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

– নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকে রাত-দিন কাটিয়ে দেয় ক্লায়েন্টের কাজ করার জন্য। মনে রাখতে হবে, আপনি নিজে সুস্থ না থাকলে ক্লায়েন্টের কাজ কিভাবে করবেন ?

– ফ্রিল্যান্সিং- কে একমাত্র আয়ের উৎস না বানিয়ে পরবর্তীতে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।

– ধৈর্যশীল হউন এবং পরিশ্রম করতে শিখুন। কেননা পরিশ্রম সফলতার প্রধান চাবিকাঠি।

Freelancing Media